শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনিং করার প্রয়োজনীয়তা তো আমাদের সকলেরই জানা! কন্ডিশনার চুলকে কোমল আর মসৃণ রাখে। বাজারে নানান নামীদামি ব্র্যান্ডের কন্ডিশনার পাওয়া যায়, তার মধ্যে থেকে আপনার চুলের উপযোগী সামগ্রীটি খুঁজে বের করাও বেশ কঠিন কাজ! তবে জানেন কি, বেশ কিছু ফলের মধ্যেও রয়েছে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের গুণ? দোকানের কেমিক্যালে ভরা কন্ডিশনার ব্যবহার না করে এ সব ফলের মাস্ক ব্যবহার করলেও আপনি অবিকল কন্ডিশনার লাগানোরই ফল পাবেন, তাও আবার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে! আসুন দেখে নেওয়া যাক!
অ্যাভোকাডো
এই ফলটি বি ভিটামিনের ভরপুর, যা চুলের বৃদ্ধির পক্ষে খুবই উপযোগী! ভিটামিন বি-এর গুণ আর সেই সঙ্গে ভরপুর আর্দ্রতা চুলে জোগান দিতে আপনার দরকার একটা অ্যাভোকাডো। একটা অ্যাভোকাডো ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন। ঘনত্ব কমিয়ে জিনিসটা অল্প তরল করতে কিছুটা জল বা টক দই যোগ করতে পারেন। চুলে এই মিশ্রণটা লাগিয়ে 15-20 মিনিট রাখুন, তারপর জলে ধুয়ে ফেলুন।
কলা
রুক্ষ, শুষ্ক, উড়ো চুল বশে আনতে কলা দুর্দান্ত ভালো কাজ করে। কলা চটকে তার সঙ্গে অল্প মধু আর দুধ যোগ করে বানিয়ে নিন ঘরোয়া কন্ডিশনার। চুলে লাগিয়ে 15-20 মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। চুল নরম তো হবেই, দারুণ সুগন্ধীও হয়ে উঠবে!
পেঁপে
চুলের গোড়া মজবুত করে তা ঘন আর চকচকে করে তোলে পেঁপে। টুকরো করে পেঁপে কেটে নিন। কয়েকটা টুকরো নিয়ে চটকে তাতে দুধ বা টক দই মেশান। এই মিশ্রণটা চুলে লাগিয়ে 30-45 রাখুন, তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন।
স্ট্রবেরি
তেলতেলে চুলের জন্য স্ট্রবেরি হেয়ার কন্ডিশনার আদর্শ। চুল রেশমের মতো ঝলমলে আর মসৃণ করে তুলতে আটটা স্ট্রবেরি একচামচ মেয়োনিজ়ের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন, তারপর এই মিশ্রণটা ভেজা চুলে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন।
আম
পাকা আম চুলের কিউটিকল মসৃণ করে, ফলে চুলও কোমল আর নরম থাকে। একটা পাকা আম চটক নিয়ে তাতে দুটো ডিমের কুসুম আর টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণটা চুলে মাসাজ করে 15-20 মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন